সাবেক মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি
মোঃ রাজু আহমেদ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই উপজেলার পানাইল গ্রামের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক পরিচালক সিকদার আবুল কালাম আজাদ (৭৫)।

গত ৪ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পত্র পাঠ করার সময় তিনি বলেন, পৌরবাজারস্থ ০৬ শতাংশ জমির মধ্যে ০৩ শতাংশ জমি বিক্রয় করি সাবেক মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টুর নিকট গত ১৩.০৮.২৩ ইং তারিখে। ওই দিনই জমি রেজিষ্ট্রি শেষে রূপালী ব্যাংক, আলফাডাঙ্গা শাখায় আমাকে টাকা দিবে বলে নিয়ে যায় মেয়র ঝন্টু। কিন্তু তার একাউন্টে জমির মূল্যবাবদ এক কোটি টাকা না থাকায় আমাকে (দুই মাসের আগামী তারিখের) পঞ্চাশ লাখ টাকার একটি চেক দেয়; চেক নং- ৭০৯৮, তাং- ১৫.১০.২৩ ইং এবং বাকি পঞ্চাশ লাখ টাকা রাতে বাসা থেকে নগদ পরিশোধ করবেন মর্মে আমরা ব্যাংক থেকে চলে আসি। যথারীতি রাতে দেখা হলে আমাকে মাত্র ২০ লাখ টাকা দেয়। আর চেকটা আদৌ ভাঙ্গাতে পারি নাই একাউন্টে টাকা না থাকায়। নানান টালবাহানায় ও ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে আজ সংবাদ সম্মেলন করে আপনাদের জানাচ্ছি, উক্ত চেকের মেয়াদ শেষ হওয়ার উপক্রম হলে তিনি উক্ত চেকটি ফেরত নিয়ে ৭৫ লাখ টাকার আরেকটি চেক (চেক নং-৬৪৮২৩১৪, তাং- ১৭.১১.২৪) প্রদান করেন এবং বাকি ৫ লাখ টাকা শীঘ্রই নগদ দিবেন বলে জানালেন। কিন্তু এসবই তার ছলচাতুরি, টালবাহানা ও প্রতারণা। আজোবধি পর্যন্ত বাকি টাকা পেলাম না। ওই বাজারে আমাদের পৈত্রিক ছয় শতাংশ জমি থেকে তিন শতাংশ জমি এক কোটি টাকায় বিক্রি করে পেলাম ২০ লাখ টাকা; বাকি ৮০ লাখ টাকা এখন পর্যন্ত দেয় নাই। উপরন্ত বাকি তিন শতক জমিও অবৈধভাবে জবর দখল করার পায়তারা করছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পেশীশক্তি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখায়।

সাবেক মেয়র আলি আকসাদ ঝন্টু বলেন,আমার বড় চাচার ময়েনউদ্দিন আহমেদ এর বন্ধু সুবাদে পারিবারিক সম্পর্ক।আলফাডাঙ্গা বাজারে এক কোটি টাকা মূল্যে জমি ক্রয় করি। প্রথমে ২৫ লক্ষ নগদ,বাকী ৭৫ লক্ষ টাকার একটি চেক দেই।পরে ৭৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করি। ঢাকার ফ্ল্যাট ও কাশিয়ানী উপজেলার পিংঙ্গলিয়া মৌজার জমি ক্রয় বাবদ ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দেই। তার পারিবারিক কলহ জেরে জমি রেজিষ্ট্রি করতে কালক্ষেপণ করলে সে ( আজাদ) ইসলামি ব্যাংক শ্যামলী শাখায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা উল্লেখ করে চেক দেয়। পূর্বে ৭৫ লক্ষ টাকার চেক ফেরত ও ফ্ল্যাট ও জমি রেজিষ্ট্রি করার তাগিদ দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে সামাজিক ভাবে হেয় করার উদ্দেশ্য মিথ্যা বানোয়াটি প্রবাকান্ডা চালায়।আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *