নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
ফ্যাসিস্ট এর বর পুত্র বদরুল আলম মজুমদার খোলস পাল্টিয়ে নিজেকে জাহির করতে শুরু করেছে। কয়লা ধুইলে ময়লা যাওনা যেমন সত্য তেমনি বদরুলের চরিত্র বুঝার কোন উপায় নেই। সে পতিত সরকারের আমলে হাবিব হাসানের ঘনিষ্ঠজন সেজে উত্তরায় দাবিয়ে বেরিয়েছে। সে আওয়ামী লীগের দালাল সম্পাদক তাজুল ইসলামের পত্রিকায় কাজ করার সুবাদে ও হাবিব হাসানের আর্শিবাদ নিয়ে ঐ সময় প্রশাসনসহ রাজনৈতিক নেতাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতো।
উত্তরার চাঁদাবাজ নামে পরিচিত বদরুল এখন বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দলের চিনি ও নেতাকর্মীদের সম্মানহানি শুরু করেছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় বদরুল তার নিজ আইডি থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নামে এবং কর্মসূচির নামে অপপ্রচার চালিয়ে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে।
জানা যায়,
সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দালাল বদরুল ঐ পত্রিকায় কাজ করে।
ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল তাজুল ইসলামের পত্রিকায় কাজ করার সুবাদে বদরুল নিজেই ফ্যাসিস্টের ভূমিকা পালন করতেন। জুলাই ২৪ ছাত্র- জনতার আন্দোলনের বিরোধিতা করে এমপি খসরু চৌধুরীর পক্ষে কাজ করেছে। ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান করায় বদরুলের সহযোগী আজাদের মোটর সাইকেল ভেঙে ফেলে ছাত্র- জনতা।মোটর সাইকেলের ক্ষতিপূরণ চেয়ে জুলাই ২০ তারিখ খসরু চৌধুরীর নিকট লিখিত অভিযোগ করেন তারা। বদরুল ছিলেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের একজন দালাল, হেন কোন কাজ ছিল না সে আওয়ামী লীগের আমলে করেনি।
জানা যায় এই বদরুল ওই সময় বিএনপির নেতাদেরকে মামলার ভয় দেখিয়ে কোনঠাসা করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতেন।
তাকে মাশোহারা না দিলে সে বিএনপি নেতাদের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করতেন এবং তাদেরকে মামলায় জড়াতেন। শুধু রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধেই নয় বদরুল আলম আওয়ামী সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে উত্তরার সাংবাদিক সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতেন। তার অত্যাচারণ নির্যাতনে স্বীকার কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাধারণ ডায়েরি সহ আদালতে ও মামলা করেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সে এতটাই ভয়ংকর ছিলো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই বদরুল তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতেন।
জানা যায়, ৫ই আগষ্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বদরুল আলম খোলস পাল্টিয়ে নিজেকে জাতীয়তাবাদী আদর্শের লোক বলে জাহির করা শুরু করেছে।
সে নিজেকে স্বঘোষিত নেতা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মহলে চাঁদাবাজি করে আসছে। সম্প্রতি
তার বিরুদ্ধে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে মামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গোপন সুত্রে জানা যায়, বদরুল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের কয়েকজন হত্যা মামলার আসামি ব্যাবসায়ীকে চার্জশীট থেকে নাম কাটিয়ে দিবে বলে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে। এছাড়াও সে
হত্যা মামলার আসামি বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে। অপর দিকে তাকে টাকা না দিলে ব্যাবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মামলায় জড়ানোর ভয় দেখান।
তার এহেন কর্মে উত্তরাবাসীর মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এখানকার সাধারণ মানুষ বলেন, বদরুল আলম মজুমদার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দালাল হয়েও কি ভাবে এখনো বহাল তবিয়তে উত্তরায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা আরো বলেন, বদরুল এ্যডভোকেট শাহারা খাতুনের আমল থেকে শুরু করে হাবিব হাসান ও খসরু চৌধুরীর আমলে ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে শত শত মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।
পর্ব -১