পাশের বাড়িতে রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে নিখোঁজ স্কুল ছাত্রীর লাশ আজ মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর দক্ষিণ পশ্চিম পাড়া গ্রামের।
উদ্ধার হওয়া তাসলিমা আক্তার মাহি (১০) ওই গ্রামের সবুজ সরদারের মেয়ে এবং স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ছিলো।
আজ মঙ্গলবার সকালে একই গ্রামের হেলাল সরদারের স্ত্রী কাজল আক্তার তাদের বাড়ির পাশের পুকুরে লাশ ভাসতে দেখেন।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দেয়।
নিহতের বাবা সবুজ সরদার জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের কিশোর সরকারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়।
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নিখোঁজ মাহির সন্ধান না পেয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এরপর আজ মঙ্গলবার প্রতিবেশী হেলাল সরদারের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় মাহির লাশ পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গোয়েন্দা সংস্থায় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পাশবিক নির্যাতনের পর শ্বাসরুদ্ধ করে শিশু তাসলিমা আক্তার মাহিকে হত্যার পর লাশ গুমের জন্য পুকুরের পানিতে ফেলা হয়েছিলো।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।