ডুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুঃশ্চিন্তায় মেধাবী মারিয়া ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে

ডুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুঃশ্চিন্তায় মেধাবী মারিয়া ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) ভর্তির সুযোগ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছে দারিদ্রতাকে জয় করা অদম্য মেধাবী মারিয়া খানম।

এ যেন গরীবের জীর্ণ কুটিরে চাঁদের আলো। মারিয়া তিন বেলা ঠিকমতো খেতে, প্রয়োজন মতো প্রাইভেট ও ভালো পোষাক পড়তে না পারলেও অদম্য ইচ্ছে শক্তি ও নিরলস অধ্যবসায় তার শিক্ষা জীবনে একের পর এক সাফল্যের পালক এনে দিচ্ছে।

ডুয়েটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরেও ভর্তি ফি, বইপুস্তক ক্রয়, আবাসন ও খাওয়ার খরচসহ লেখাপড়ার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন নিয়ে চরম দুঃশ্চিন্তায় পরেছেন জেলার বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলতা গ্রামের মৃত তাহের শরীফের ছোট মেয়ে মারিয়া খানম।

মারিয়া বানারীপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখা থেকে ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছিলো।

মারিয়া স্কুল জীবনে কর্নেল (অব.) আনোয়ার হোসেন ও তার ভাই দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা বৃত্তির জমানো ১০ হাজার টাকা দিয়ে সরকারি গৌরনদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন।

সেখানে পড়াশুনার সময় প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের পড়াশুনার ব্যয়ভার বহন করতো মারিয়া। মারিয়ার বড় বোন মুনিয়া আক্তার বিথী প্রাইভেট পড়িয়ে ও সেলাই মেশিন চালিয়ে এবং ভাই নাঈম শরীফ ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে নিজেদের লেখাপড়ার খরচ ও পরিবারের সদস্যদের ভরনপোষনের দায়িত্ব পালন করছেন।

মারিয়া সরকারি গৌরনদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ২০২৩ সালে কৃতিত্বের ধারাবাহিকতায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। পরবর্তীতে মারিয়া তার স্বপ্নের ডুয়েটে ২০২৩-২৪ ইং সেশনে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

তবে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলেও স্বস্তি নেই তার মনে। ভর্তি ফি, বইপুস্তক ক্রয়, আবাসন ও খাওয়ার খরচসহ ব্যয়বহুল লেখাপড়ার ব্যয়ভার বহন নিয়ে সে এখন চরম দুঃশ্চিতার মধ্যে পরেছেন।

অদম্য মেধাবী মারিয়া খানমের উচ্চশিক্ষা অর্জন নিয়ে তার বিধবা মা মাকছুদা বেগম, ভাই নাঈম শরীফ ও বোন মুনিয়া আক্তার বিথী চরম দুঃশ্চিন্তার মধ্যে পরেছেন।

এজন্য তারা সমাজের মহানুভব ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *