সৌদি আরবের কথা বললেই চোখে ভেসে ওঠে বিশাল মরুভূমি। সেই সঙ্গে থাকবে তীব্র তাপমাত্রা। তবে এটি এখন হয়ে উঠছে উপসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে তুষারপাত প্রবণ দেশ। বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা আরাবিয়া ওয়েদারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, উপসাগরীয় প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় সৌদি আরবে তুষারপাত বাড়ছে। দেশটির আল-জাউফ, উত্তর সীমান্ত এবং তাবুকের মতো জায়গায় নিয়মিত তুষারপাত হচ্ছে। মাঝেমাঝে এই তুষারপাত উত্তরাঞ্চলীয় হাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে সাধারণত শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে। যেখানে গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এখন এই দেশগুলোতে তুষারপাত হচ্ছে। এর আগে সাধারণ এই দেশগুলোর পর্বতগুলোতে তুষারপাত দেখা যেত।
সৌদির এই অস্বাভাবিক আবহাওয়ার ঘটনাকে আরব সাগরের ওপর একটি বিরল নিম্নচাপ সিস্টেমকে দায়ী করা হয়। এই সিস্টেমে আর্দ্র বাতাস মরুভূমির তীব্র উষ্ণতার সাথে মিলিত হলে বজ্রবিদ্যুৎ, শিলাবৃষ্টি এবং এমনকি তুষারপাতও ঘটায়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতেও তুষারপাত হয়েছিল।
ওই বছর অস্বাভাবিক আবহাওয়ার কারণে রাস আল খাইমাহেরের জেবেল জাইসেতে ভারী তুষারপাত দেখা যায়। এটি ছিল একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। পারস্য উপসাগরের আরেক দেশ ওমানের জেলেব শামস পর্বতে শীতে তুষারপাত হয়। এটি ওমানের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। এর উচ্চতা ৩ হাজার ২৮ মিটার।
কুয়েতেও অস্বভাবিকভাবে তুষারপাত হয়েছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সালমিয়া এলাকায় হালকা তুষারপাত হয়, যা দেশের বাসিন্দাদের বিস্মিত করে। কুয়েতিরা এর আগে কখনও তাদের দেশে তুষারপাত দেখেনি। (সৌদি আরব )প্রতিনিধি মো: জহির হাওলাদার