কাঙ্খিত পদ্মা সেতু চালু হবার পর থেকে কপাল পুড়েছে দক্ষিনাঞ্চলের কয়েকটি জেলার সড়কপথে চলাচল করা মানুষদের ও পথচারিদের। ফরিদপুর জেলার ভাংগা থেকে মাদারীপুর বরিশাল পটুয়াখালী বরগুনা কুয়াকাটা ভোলায় যাতায়াতকারি বেপরোয়া পরিবহনের চাপায় ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ, পঙ্গুত্ব বরন করেছে লাখো মানুষ !
প্রতি নিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা,সড়কে পড়ছে লাশ , লাশের মিছিল বারছে ! এসব দূর্ঘটনার জন্য প্রধান কারন হলো সরু সড়ক,বেপরোয়া পরিবহন,অধিক গতি,পাল্লা দিয়ে চলাচল করা,ড্রাইভারদের মাদক গ্রহন করা,সড়কে অটো ভ্যান মাহিন্দ্রা চলাচল করা,যত্র তত্র রাস্তা পার হওয়া,যেখানে সেখানে রিক্সা,ভ্যান অটো মাহেন্দ্রা দাড়িয়ে যাত্রী ওঠা নামানো করা ইত্যাদি ।
এমন কোনো দিবা রজনী নেই যে লাশের মিছিল হয় না, লাশ পড়ে না !
গত দুদিন আগে লন্ডন প্রবাসী ফিরোজ মোল্লার ছোট চাচা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মজিবর মোল্লা গৌরনদীর সাউদেরখাল নামক স্থানে সড়ক পার হতে গিয়ে বেপরোয়া পরিবহনের চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এরই প্রতিবাদে সুদুর লন্ডন থেকে প্রুতবাদে ফেটে পড়েন ফিরোজ মোল্লা, ইতালী প্রবাসী বর্তমাসে দেশে অবস্থান করা মিজানুর রহমান মুন্সি ও যুবদল নেতা কাফির মাধ্যমে ডাক দেন মানববন্ধনের।
ভাঙ্গা থেকে বরিশাল কুযাকাটা পর্যন্ত সড়ককে ফোর লেন করার, উদ্যোগে ফিরোজ মোল্লা , মিজানুর রহমান মুন্সির সভাপতিত্বে ও যুবদল নেতা কাফির সঞ্চালনায় সকাল দশটায় বরিশালের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে সম্মিলিত গৌরনদীর ব্যানারে নিরাপদ সড়ক চাই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে রাজনৈতিকদলের নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক ব্যবসায়ী সুশিল সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বক্তরা অভিলম্বে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল ফোর লেন করার দাবি জানান। সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধরার আহব্বান জানান ।