শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় দফায় ছাত্রলীগের ২২০ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় দফায় ছাত্রলীগের ২২০ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক আরমান হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।এতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু, ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদের নাম প্রথমদিকে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলা পরবর্তী শাহবাগ থানায় একটি সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় সমম্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, গত ২১ তারিখে আমরা একটি মামলা করেছিলাম, সেখানে যারা বাদ পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে এবং যারা আন্দোলনের মূল উসকানিদাতা তাদের অন্তর্ভুক্ত করে ২২০ জনের নামে আমরা আরেকটি একটি মামলা দায়ের করেছি শাহবাগ থানায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরমান হোসেন মামলাটি দায়ের করেছেন।

তিনি বলেন, আইনগত পদক্ষেপের ক্ষেত্রে আপনারা সবাই এগিয়ে আসবেন। আপনারা যে যেভাবে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মামলা দিন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, ১৫ জুলাইয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় তৎকালীন প্রশাসনের বিরুদ্ধেও মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মামলার বাদী আরমান হোসেন বলেন, গত ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ নির্মম হামলা এবং আঘাত করেছে, এটা সবাই প্রত্যক্ষ করেছেন। গত ২১ তারিখে একটি মামলা হয়েছে, সেখানে কিছু আসামি বাদ পড়ে, কিছু মূল হোতা বাদ পড়ে। এ ছাড়া প্রত্যেক হলে হলে যারা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধা দিয়েছে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মামলার এজাহারে ১৯৮ থেকে ২২০ নম্বরে উল্লিখিতদের বাধাদানকারী হিসেবে আসামি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক রিফাত রশীদ, হামজা মাহবুব, মোহাম্মদ মহিউদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে রবিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মুনসুর বলেন, একটা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি যাচাই বাছাই চলছে, মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *