*ফেব্রুয়ারির মধ্যে জায়গা খালি করে দেয়ার নোটিশ
ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস নিকট আত্মীয় হওয়ার সুবাদে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ তাকে অনিয়মের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন।
যেকারণে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মালিকাধীন সিটি সুপার মার্কেটে ১৭ মাস ধরে বিনা ভাড়ায় কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে তাপসের মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকের বিরুদ্ধে।
এনিয়ে বিসিসি থেকে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হলেও কোন কর্ণপাত করেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
ফলশ্রুতিতে গত কয়েকদিন পূর্বে সব ভাড়া পরিশোধ করে আগামী ফেব্রæয়ারি মাসের মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জায়গা খালি করে দেওয়ার নোটিশ দিয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন।
সোমবার দুপুরে নগর ভবনের হাট বাজার শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে বরিশাল নগরীর সদর রোডের সাততলা বিশিষ্ট সিটি সুপার মার্কেটের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার ১ হাজার ৯৩০ বর্গফুট ফ্লোর ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে ফজলে নূর তাপসের মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকের বরিশাল শাখা।
ওইসময় কাগজে কলমে মাসিক ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ৯৬ হাজার ৫শ’ টাকা। অথচ গত ১৭ মাসের অধিক সময় পার হলেও অদ্যবর্ধি একটি টাকাও ভাড়া পরিশোধ করেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এমনকি ভাড়ার শর্তানুযায়ী দুই বছরের অগ্রীম ভাড়াও পরিশোধ করা হয়নি।
সূত্রে আরও জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তন আসে বরিশাল সিটি করপোরশনের পরিচালনা পর্ষদে। এরপরই মধুমতি ব্যাংকের অনিয়মের বিষয়টি সামনে আসে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের হাটবাজার শাখার প্রধান নুরুল ইসলাম বলেন, ভাড়া পরিশোধ করা নিয়ে একাধিকবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেওয়ার পরেও কোনো সমাধান হয়নি।
এ কারণে গত কয়েকদিন পূর্বে সব ভাড়া পরিশোধ করে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জায়গা খালি করে দেওয়ার নোটিশ দিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ রয়েছে, ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংক।
তাপস আপন ফুফাতো ভাই হওয়ার সুবাধে এমন অনিয়মের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন তৎকালীন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সব ভাড়া পরিশোধ করে ভবন না ছাড়লে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আনুষ্ঠানিকভাবে কোন বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও তিনি জানিয়েছেন, প্রধান কার্যালয় বরাবর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাই পরবর্তী সিদ্ধান্ত প্রধান কার্যালয় থেকে গ্রহণ করা হবে।