বরিশাল নগরীর মাছের আড়তে ইলিশ সংকটের কারণে বেড়েছে দাম। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। পাইকারি বাজার বা মোকামগুলোতে আমদানি না বাড়লে ইলিশের দাম আরও বাড়ার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার সকালে নগরীর পোর্টরোড বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে এখন যে ইলিশ পাওয়া যায় তার সিংহভাগই আকারে কেজি সাইজের নিচে। কেজি সাইজের ওপরে ইলিশের আমদানি নেই বললেই চলে।
ফলে বর্তমানে এক কেজি দুই থেকে তিনশ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ প্রতিমণ দেড়লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক কেজি সাইজের ইলিশের প্রতিমণ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে।
নগরীর পোর্ট রোডস্থ একমাত্র বেসরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সবমিলিয়ে অল্প কিছু মাছ উঠেছে বাজারে। পোর্ট রোডে ১৬৭টি মাছের আড়ৎ রয়েছে। এরমধ্যে শুধু ২০টি আড়তে ইলিশ মাছ বেচা-বিক্রি হয়েছে।
পোর্ট রোডের মাছ ব্যবসায়ী বেলায়েত সিকদার বলেন, শনিবার বাজারে মাত্র ২২ মণের মতো ইলিশ মাছ বেচা-বিক্রি হয়েছে। এসব মাছের সিংহভাগ ছোট সাইজ। দেড় কেজি ওজন সাইজের একটি মাছও গত কয়েকদিন ধরে বাজারে আসনি। তবে এক কেজি দুই থেকে তিনশ’ গ্রাম সাইজ ওজনের কয়েকটি মাছ উঠেছে।
সেই মাছ কেজি প্রতি তিন হাজার ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ফলে মণপ্রতি দাম পরেছে দেড় লাখ টাকা। আর এক কেজি ওজন সাইজের কিছু মাছ ছিলো বাজারে, যার দর কেজি প্রতি তিন হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। ফলে এ মাছ এক লাখ ২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
আর এলসি সাইজ (আট থেকে নয়শ’ গ্রাম) ইলিশ কেজি প্রতি দুই হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, সেই হিসেবে এই সাইজের মাছ ৮৮ হাজার টাকা দরে মণ বিক্রি হয়েছে।
জেলার মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, গত কয়েক বছর ধরে শীতে ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু এ বছর কিছুটা ব্যতিক্রম হয়েছে। শুধু নদীতেই নয়, সাগরেও ইলিশ মাছ কম ধরা পরছে। তবে সময়ের সাথে সাথে এর পরিবর্তন ঘটবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।