স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল
পূর্ব শত্রুতার জেরধরে প্রতিবেশী বাচ্চু দুরানী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শারিরিকভাবে অসুস্থ প্রবোধ হালদারকে (৫৫) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আসামি করেছেন। পুলিশ মামলার তদন্ত না করেই প্রবোধ হালদারকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।
এমনই অভিযোগ এনে সোমবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রবোধ হালদারের একমাত্র সন্তান সুইটপি প্রিমা হালদার (২৭)।
তিনি তার অসুস্থ বাবার মুক্তির জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা বরিশাল সিটি কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের রহমান খান, আবু তাওহীদ ও বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, দায়েরকৃত মামলার ঘটনাস্থলে ঘটনারদিন আমরা উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু সে সময় আসামি প্রবোধ হালদার ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
অস্ত্র ছিল পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে। আর একজন অসুস্থ বয়স্ক রোগীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা হলেও পুলিশ তা পর্যবেক্ষণ না করে কিভাবে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে তা প্রশ্নবিদ্ধ।
নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রূপাতলী এলাকার বাসিন্দা সুইটপি প্রিমা হালদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, জেলহাজত থেকে আমি আমার বাবার মুক্তি চাই। আমার বাবা শারীরিকভাবে অসুস্থ হবার পর ২০১০ সাল থেকে কর্মক্ষম। মা পেশায় শিক্ষিকা। মায়ের বেতনের অর্থ দিয়েই চলে আমাদের অভাবের সংসার।
মাও ২০১৮ সালের স্টোক করেছিলেন। বর্তমানে মা-বাবা দুইজনেই শারীরিকভাবে অসুস্থ। এরমধ্যেই পূর্ব শত্রæতার জেরধরে আমাদের প্রতিবেশী বাচ্চু দুরানীর দায়েরকৃত মামলায় ষড়যন্ত্র করে বাবাকে মামলার ৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বাবা এখন জেলহাজতে।
তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাবার অসুস্থার তথ্য যাচাই বাছাই কিংবা মামলার সত্যতা তদন্ত না করেই গত ২২ জানুয়ারি দিবাগত রাতে বাসা থেকে বাবাকে গ্রেপ্তার করে নিয়েছে। পরেরদিন আদালতের মাধ্যমে বাবাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
দায়েরকৃত মামলার বাদি বাচ্চু দুরানী বলেন, আমার অভিযোগে কোন মিথ্যা নেই। আমি সত্য তথ্য তুলে ধরে মামলা দায়ের করেছি।