ছাত্রহত্যা চেষ্টার মামলায় হেফাজত নেতা, জামায়াত -বিএনপির কর্মী,

ছাত্রহত্যা চেষ্টার মামলায় হেফাজত নেতা, জামায়াত -বিএনপির কর্মী,

ও প্রবাসিদের আসামি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে ছাত্র জনতার মিছিলে গুলিবর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার একটি মামলায় হেফাজত নেতা, ইমাম, মাদরাসা শিক্ষক, জামায়াত- বিএনপির কর্মী এবং ৫ প্রবাসিসহ ৩৯ জনকে জড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

শুক্রবার বাদ জুম’আ সোনাগাজীর মান্দারি আজগর বেপারি জামে মসজিদের সামনে এ মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসি।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কুঠিরহাট আয়েশা সিদ্দিকা মাদরাসার সুপার মাও. আবদুল মজিদ, জেলা হেফাজত ইসলামের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল আবছার, মান্দারি মাদরাসার শিক্ষক মাও. এমদাদ উল্যাহ, মাওলানা হারুন রশিদ, সমাজসেবক গোলজার হোসেন, ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন এমন ব্যক্তি, শহীদদের জানাজা দিয়েছেন এমন ইমাম, মোয়াজ্জেম, মাদরাসার শিক্ষক ও বিএনপি -জামায়াত কর্মীদের আসামি করা হয়েছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মিথ্যা মামলা থেকে এসব ব্যক্তিদের বাদ দিতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মানববন্ধনে মান্দারি ও পাইকপাড়া গ্রামের সহস্রাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। জানাগেছে, গত ৪ আগষ্ট  মহিপালে ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় গত ১৮ নভেম্বর ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সেনবাগ উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সিএনজি চালক আবদু রব (ফেনী থানায় মামলা নং- ৪৩)।এ মামলায় ১৪২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৭০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় আসামি করা হয়েছে, সোনাগাজীর মান্দারি গ্রামের মো: হানিফের ছেলে সৌদি প্রবাসী মুুহাম্মদ রিয়াদ, একই গ্রামের মো: ইদ্রিস মিয়ার ছেলে প্রবাসি বিশ্বাস মিয়া ও আড়কাইম গ্রামের আবু আহম্মদের ছেলে প্রবাসি নাছির উদ্দিনকে। আসামি করা হয়েছে, জেলা হেফাজত ইসলামের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাও. নুরুল আবছার, বিএনপির কর্মী কালামিয়া, পলাশ, নুর করিম, ফারুক, শাহাদাত, নুর আহাম্মদ, দেলোয়ার হোসেন, মোবারক হোসেন ও মাহবুবুল হক সহ ৩৯ জন।

বিদেশে থেকেও কিভাবে আসামি হয়েছেন তিন প্রবাসি এমন প্রশ্নের জবাবে ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা জানান, বিদেশে থেকে কেউ আসামি হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। বাদীর এজাহার পেয়ে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।

দুজন সাংবাদিক কিভাবে আসামি হলো সেটাও জানানেই। এজাহারে তাদের পেশাগত পরিচয় ছিলনা। আশাকরি তদন্তে বিষয়টি জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *