গৌরনদীতে ময়লার ডাস্টবিন হয় রাস্তা।
ডাস্টবিনের এই অবস্থা যদি হয় তাহলে দেখা দিতে পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং এই জায়গায় হতে পারে ডেংগুর এডিস মশার বাসবাসের স্থান।
ডাস্টবিন এর এই অবস্থার কারণে আবর্জনা সঠিকভাবে ফেলার ব্যবস্থা থাকে না। ফলে মানুষ যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে দেয়।
অনেক সময় এই আবর্জনা ড্রেনেজ ব্যবস্থায় জমে থাকে, যা ড্রেনেজের সঠিক প্রবাহ ব্যাহত করে। এতে বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বিশেষ করে বর্ষাকালে পুরো গৌরনদী বন্দর ও আশেপাশে পানিবদ্ধ হয়ে পরে।যা সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করে।
যেখানে-সেখানে আবর্জনা ফেলার কারণে তা থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগজীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে যেমন: ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, কলেরা ইত্যাদি রোগ ছড়াতে পারে, যা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করে তোলে। বর্তমানে এই ডেঙ্গুর প্রভাব অনেকটাই বেশি। ভালো ডাস্টবিন না থাকার কারণে লোকালয়ের চারপাশে বা নদীর ধারে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে এই ডেঙ্গুর প্রভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে।
যেখানে সেখানে আবর্জনা পড়ে থাকলে তাতে শুধু পরিবেশই দূষিত হয় না, মানুষও শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চারপাশের দুর্গন্ধ, নোংরা পরিবেশ আমাদের মানসিক শান্তি বিঘ্নিত করে । এর ফলে পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন এবং দৈনন্দিন জীবনের গুণগত মানের অবনতি ঘটে।
গ্রাম/শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ায় পর্যটন খাতে প্রভাব ফেলে। ডাস্টবিন না থাকার জন্য যেখানে সেখানে ময়লা পড়ে থাকে তার সৌন্দর্য ও পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ডাস্টবিনের অনুপস্থিতি থেকে যে সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়, সেগুলো ছোট কোনো সমস্যা নয়। এগুলো আমাদের স্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং অর্থনীতির উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে। তাই, সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের উচিত বিশেষ করে গৌরনদীতে এখানে প্রত্যেকে ডাস্টবিনের অবস্থা অনেকটাই ভয়াবহ পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা এবং জনগণকে সচেতন করে তোলা, যাতে সঠিক স্থানে আবর্জনা ফেলে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখা যায়।
ডাস্টবিন স্থাপন শুধু আমাদের চারপাশকে পরিষ্কার রাখার জন্য নয়, এটি একটি স্বাস্থ্যকর, সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ গড়ার অন্যতম প্রধান উপকরণ।
বরিশাল এর গৌরনদী ঘুরে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করছেন।
রায়হান সরদার
স্টাফ রিপোর্টার
বরিশাল UkTVBD