কীর্তনখোলায় স্পিডবোট দুর্ঘটনার আটদিন পর দপদপিয়া সেতু সংলগ্ন নদীতে নিখোঁজ যাত্রী সজল দাসের মরদেহ ভেসে উঠেছে।
এরআগে দুর্ঘটনার দুইদিন পর চালক ও দুই যাত্রীর এবং দুর্ঘটনার পর পরই এক যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সবমিলিয়ে দূর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশাল সদর নৌ-থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, স্বজনরা মরদেহটি সজল দাসের বলে শনাক্ত করেছেন। নিহত সজল দাস (৩০) জেলার বাবুগঞ্জের রহমতপুর এলাকার দুলাল দাসের ছেলে।
ওসি আরও জানান, নিয়মানুযায়ী শনিবার সকালে সজলের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে ঝুঝিয়ে দেওয়ার হয়েছে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কীর্তনখোলার দপদপিয়া সেতু সংলগ্ন ভাসমান অবস্থায় সজলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও জানিয়েছেন, গত রবিবার দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকে স্পিডবোটের চালক আল-আমিন, যাত্রী ইমরান হোসেন ইমন ও রাসেল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দূর্ঘটনার পর পরই নদী থেকে উদ্ধার করা হয় জালিস মাহমুদ (৫০) নামের এক যাত্রীর মরদেহ।
এছাড়াও মানসুর আহমেদ নামে ভোলার দৌলতখান থানার কনস্টেবলকে গুরুত্বর অবস্থায় উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে ভোলা থেকে বরিশালগামী যাত্রীবাহি স্পিডবোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়।